মেঘনা নদীতে ১১ লাখ লিটার তেলসহ ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি সাগর নন্দিনী-২ কে উদ্ধারে ও নদী থেকে তেল অপসারণে দুটি জাহাজ পাঠিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মেঘনার তুলাতলী পয়েন্টে পৌঁছে তেল অপসারণকারী জাহাজ ‘পশুর ক্লিনার -১’ এবং টাগ বোট ‘অগ্নিপ্রহরী’ নামের দুই জাহাজ। জাহাজ দুটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার কাজে অংশ নেবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপ-সচিব মাকরুজ্জামান পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ বলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ল্যামোর সংযোজিত অত্যাধুনিক তেল অপসারণকারী জাহাজ ‘পশুর ক্লিনার -১’ এবং উদ্ধারকারী জাহাজ টাগ বোট ‘অগ্নিপ্রহরী’ ভোলায় পাঠানো হয়। জাহাজ দুটি ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। টাগ বোটটি বিআইডব্লিউটিএ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে অংশ গ্রহণ করবে। উদ্ধারের সময় যদি তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তেল অপসারণকারী জাহাজটি সেগুলো অপসারণ করবে। যাতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয়।
বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) মো. আব্দুস সালাম বলেন, তেলসহ ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। দুর্ঘটনাস্থলে হুমাইয়া ও উমিয়া নামের দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে। মোংলা বন্দর থেকে আরও দুই জাহাজ এসেছে। উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে ৩১ ডিসেম্বর দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করা হবে। এ সময় যদি জাহাজ থেকে তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তেল অপসারণকারী জাহাজ দিয়ে তেল অপসারণ করা হবে। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি, জাহাজ উদ্ধারের সময় যাতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয়।
এর আগে, রবিবার ভোরে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে তেলবাহী জাহাজ ‘সাগর নন্দিনী-২’ এর সঙ্গে নোঙর করা আরেকটি জাহাজের সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে সাগর নন্দিনী জাহাজের পেছনের তলা ফেটে তা পানিতে নিমজ্জিত হয়। জাহাজে থাকা মাস্টারসহ ১৩ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।